October 24, 2024, 4:28 pm

সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদির সাথে মারামারি ৭ম আন্তর্জাতিক Flight Safety Seminar 2024 এর সমাপনী অনুষ্ঠান বিগত ১ বছরে দুবার ঝড়ে কপাল পোড়েছে কয়রা বাসির দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তবুও নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিনকে গাজীপুরে পদায়ন সাবেক কমিশনার হারুনের দাপটে বসত ভিটে ছড়া এক দম্পতি   খুলনা কয়রায় হামলা করে আসামি ছিনতাই, ৫ পুলিশ সদস্য আহত খুলনা পাইকগাছায় বিগত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ আহত ৫৬  কয়রায় এক নারী বাসা বাড়ি কাজ করতে করতে বর্তমানে চা বিক্রি করেই স্বাবলম্বী কয়রা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় সভা  আন্তরজাতকি এয়ারট্রাফকি কন্‌ট্রালারূক্স ডে উদযাপন

দূর্নীতিতে জড়িয়ে পরেছে মিরপুর বি.আর.টি.এ মোটরযান পরিদর্শক শেখ মাহাতাব উদ্দিন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ আলোচিত-সমালোচিত মিরপুর বি.আর.টি.এ মোটরযান পরিদর্শক শেখ মাহাতাব উদ্দিন বিভিন্ন মানুষের কাছে বলে বেড়ান তিনি সহকারী পরিচালক পদে পদোন্নতি পাবেন।

সরকারী এই কর্মকর্তার নামে অনেক জাতীয় দৈনিকে দূর্নীতির তথ্যচিত্র সংবাদ আকারে প্রকাশ করা হয়। মাহাতাব উদ্দিনের এ হেন দূর্নীতি যাহা রাষ্ট্রবিরোধী কর্ম বললেও তা ভুল হবে না। গত ১৭ই জানুয়ারী ২০২২ সালে চট্টগ্রামে র‍্যাব-৭ এর অভিযানে পাহাড়তলী থানাধীন উত্তর কাট্রলী খেজুরতলী জলপাই ব্রীজের নিকট রাস্তায় থাকা ঢাঃমেঃ চ-৫১-৬৭৩০ মাইক্রোবাসটি রাত প্রায় ১.৪৫ মিনিটে আটক করে। এখন পর্যন্ত মাইক্রোবাসটি এখনও চট্টগ্রাম আদালতে আটক অবস্থায় আছে।

উক্ত গাড়ির পরিদর্শন ছাড়াই মোটরযান পরিদর্শক শেখ মাহাতাব উদ্দিন মোটা অংকের টাকা নিয়ে ১৭-৮-২০২২ ইং সালে গাড়ীটির বি.আর.টি.এ হাজিরা দেখিয়ে মালিকানার স্লিপ করে দেয়। শুধু তাই নয়, শেখ মাহাতাবের অধীনে ১১৪ নম্বর রুমে দায়িত্বে থাকা সহকারী মোটরযান পরিদর্শক মোঃ রাকিবুল ইসলাম হচ্ছেন ওনার দূর্নীতির বড় হাতিয়ার! জাতীয় দৈনিক অন্যায়ের চিত্র পত্রিকায় ৯ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে উক্ত কক্ষের দূর্নীতির তথ্যচিত্র সহকারে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। দৈনিক আজাদির কন্ঠে এবং একই মাসে দৈনিক পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় মালিকানা বদলী শাখার দূর্নীতি চিত্র ও তথ্যের সংবাদ প্রকাশ হয়। অভিযোগ পাওয়া যায় ঢাঃমেঃ গ-৩১-৮৩২১ গাড়িটির মালিকানা বদলীর জন্য একতিয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি মালিক ছাড়াই নিজ নামে মাহাতাব উদ্দিনের বন্ধু ও পি.এ পরিচয় দেওয়া দালাল কবির মাহাতাবের রুমে বসে একটি স্লিপ করে দেয় মোটা অংকের টাকা খেয়ে। উক্ত প্রাপ্ত রশিদে উল্লেখ্য আছে যে, মালিকাবদলী, প্রতিলিপি, রং পরিবর্তন, ইঞ্জিন পরিবর্তন এর অনলাইন টাকা জমার অংক দেয়া ছিলো।

প্রায় ১ বছর হওয়ায় উক্ত গাড়ীর মালিকানা পরিবর্তন দিতে আসে বি.আর.টি.এ মালিকানা বদলী কক্ষ ১১৪ নাম্বার রুমে। উক্ত কক্ষে যোগাযোগ করা হলে বলা হয় গাড়ীটির পূর্বের মালিকানার অনলাইন ডাটা হয় নাই এবং আমাদের রুম থেকে মাহাতাব স্যারের রুমে থাকা কবির মিয়া ফাইল তার কাছে নিয়ে যায়। কবির মিয়া উক্ত ফাইল এর ডাটা করার জন্য আবারও ৪০,০০০/- চল্লিশ হাজার টাকা দাবি করে। ফাইল হারিয়ে গেছে নতুন করে ফাইল করতে চাই। এক পর্যায়ে আমরা গণমাধ্যমে কর্মীরা ঘটনা জানলে তা যাচাই করতে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে কবির মিয়ারও অভিযোগ পাওয়া যায় অনেক বার।

১১৪ নং রুমে থাকা রাকিবুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলাম সরকারী রুমের ফাইল কোন কারণ ছাড়াই দালালের বাসায় থাকে কি ভাবে? এই ব্যাপারে রাকিব মন্তব্য করে কবির মিয়া তো স্যারের পারসনাল লোক তাই তার নাম এন্টি খাতায় লিখে, ফাইল নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত অনেক কষ্টে উক্ত কবিরের বাসায় রাখা সরকারী অফিস থেকে লুকানো ফাইল উদ্ধার করা হয়।

পূর্বের মালিককে হাজির করে মালিকানা ডাটা তৈরি করা হয়। উক্ত স্লিপের মালিকানা ডাটা হলেও আজও পরিবর্তন করা হয়নি স্লিপে থাকা রং পরিবর্তন ও ইঞ্জিন পরিবর্তন এর ডাটা। এখনও উক্ত গাড়ীর মালিকানা স্লিপ নিয়ে দুর্ভোগ পোহাইতে হচ্ছে বর্তমানে স্লিপে থাকা মালিককে। কবির মিয়া অর্থাৎ দালাল প্রতারক কবির মিয়া গং এর দূর্নীতির স্বীকার আজও মিরপুর বি.আর.টি.এ আসা সাধারণ মানুষগুলো।

গণমাধ্যম এক কর্মী তারই আত্মীয়ের একটি গাড়ী যাহা রেজিঃ নাম্বারঃ ঢাঃ মেঃ গ-৩২-৭৬৬৭ মালিকানা স্লিপের মেয়াদ বছর পার হয়ে যাওয়ায় অনলাইন ডাটার জন্য লেখ মাহাতাবকে সুপারিশ করা হলে গত জুলাই মাসের ১২ তারিখ উক্ত গাড়ীটির ডাটা অনুমোদন করে। এখন পর্যন্ত অনলাইন ডাটা পাওয়া যায় না। ফোন দিলে বা কক্ষে গেলে ফাইলটি খুঁজে পাওয়া যায় না জানায়।

দালাল, প্রতারক, বাটপার যদি সরকারী অফিসের রুম গুলোতে চেয়ার টেবিলে বসে অফিসার সেজে মানুষকে ধোকা দিতে পারে তাহলে ফাইল হারানো বিচিত্র কোন ঘটনা না। পূর্বের তারিখ গুলোতে এই রকমের দূর্নীতির তথ্য চিত্র সহকারে প্রচার করায় শেখ মাহাতাব একটি দালাল সন্ত্রাসী চক্রকে তাহাদের মালিকানাবদলী শাখার প্রতিটি কক্ষের সামনে পাহাড়ায় বসায় গণমাধ্যম কর্মীদের লাঞ্ছিত করার জন্য। এই সন্ত্রাসীদের হাতে বিভিন্ন সময় আমাদের গণমাধ্যম কর্মীদের লাঞ্ছিত হতে হয়। সন্ত্রাসীরা জোড় করে সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফটো ডিলেট করে দিতো।

তাই বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক মিলে সঠিক তথ্য ও চিত্র সংগ্রহের মাধ্যমে ২৯শে জুলাই থেকে ৩১শে জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে মোটরযান পরিদর্শক শেখ মাহাতাব উদ্দিন এর নামে দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশসহ প্রায় ১৫-২০টি পত্রিকায়। উক্ত সংবাদটি পেয়ে মাহাতাব সাংবাদিকদের সাথে বসে তাদের বিভিন্ন ভাবে লোভ দেখায়। সাংবাদিকরা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

সাংবাদিকরা বি.আর.টি.এ এর গেটের বাহিরে বের হইতেই পড়তে হয় এক দালাল সন্ত্রাসী চক্রের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়। সাংবাদিককে জোড় করে সাংবাদিকের বুকে ভুয়া সাংবাদিকের কম্পিউটার প্লে কার্ড ধরে ভিডিও করা হয়। এই বিষয়ে সাংবাদিকরা কাফরুল থানায় নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ডাইরী করে। এক সংবাদ মাধ্যম কর্মী শেখ মাহাতাব এর নামে জি.ডি করতে চাইলে ও.সি তদন্ত বলে সন্ত্রাসীদের নামেই করেন। মাহাতাব একজন সরকারী কর্মকর্তা। এই বলে কাটিয়ে নেয়া গ্রহণ করা ডায়েরী ৯/৮/২০২৩ ইং তারিখে জি.ডি নাম্বারঃ ৬৮৭ কাফরুল থানা। ১৩ই আগস্ট দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকা, দৈনিক আমার সময়সহ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় সাংবাদিক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে সংবাদ প্রচার করা হয় ও বিভিন্ন প্রেসক্লাবসহ সাংবাদিক জোট উক্ত সাংবাদিকের উপর অমানবিক আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। আইনি সহায়তা চাওয়ার পরও এখনও হুমকির স্বীকার হতে হয় উক্ত সন্ত্রাসী গং দ্বারা।

আর এই সন্ত্রাসীদের মদদদাতা মিরপুর বি.আর.টি.এ দায়িত্বে কাফরুল থানার এস.আই সোহেল যাহার নামে প্রায় ২০টি পত্রিকায় ঐ সন্ত্রাসী হামলায় সহযোগিতায় ছিল সংবাদ প্রচার করে। তাই দূর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসার সোহেল, শেখ মাহাতাব উদ্দিনদের রাষ্ট্র বিরোধী দূর্নীতির কর্মের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত ঘটনায় থাকা সকল সন্ত্রাসী, গংদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারী প্রতিটি মহলের দৃষ্টি আকর্ষণে সংবাদটি প্রচার করা হলো।

এ বিষয়ে মাহতাব উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সহকারি-পরিচালক বক্তব্য দিবেন। সহকারি-পরিচালকের রুমে গিয়ে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে কাজটা করেছে সেই ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবে কিভাবে এই কাজটা করেছে আপনারা তার কাছ থেকে বক্তব্যটা নেন কিভাবে করেছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন